যারা মা হবেন বা হতে যাচ্ছেন তারা মনোযোগ দিয়ে পড়ুনঃ
গভর্ধারণের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেয়া পারিবারিক জীবনের এক বড় ঘটনা । গর্ভধারণের আগে নারীদের শারিরীক অবস্থা ও জীবনযাপনের পরিবেশ সরাসরি গর্ভবতী ও পেটের বাচ্চার স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত । তাই গর্ভধারণের আগে নিম্নে যে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে তাহল
এক, রোগাক্রান্ত হওয়া বা আরোগ্য লাভ করার সময়ে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
দুই, বিয়ে করার প্রথম মাসে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
তিন, হানিমুন বা পযটনকালে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
চার, স্বামী-স্ত্রী দুপক্ষের উচ্চবয়সে গর্ভধারণ এড়াতে হবে । নারিদের উত্তম প্রজননের বয়স হল ২৪ থেকে ৩০ বছর বয়স পযন্ত ।
পাঁচ,গর্ভধারণের আগে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি বা অতিবিষাক্ত বস্ত্রের স্পর্শ এড়াতে হবে , সাধারণত এক্সরে চিকিত্সার কমপক্ষে চার সপ্তাহের পর গর্ভধারণ করতে পারেন ,আর যারা বারবার অতি বিষাক্ত কীটনাশক ওষুধ বা রাসাযনিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসেন তারা এক মাস পর গর্ভধারণ করতে পারেন.যাতে ভ্রুণটির বিকৃতি না ঘটে ।
ছয়,সিগারেট ও মদ খাওয়া ছেড়ে দেয়ার ২-৩ মাস পর গর্ভধারণ করতে পারেন আর স্বামীকে স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার এক মাস আগে সিগারেট ও মদ খাওয়া বন্ধ করতে হবে ।
সাত, প্রসব ও গর্ভপাতের কিছু দিন হতে না হতেই গর্ভধারণ এড়াতে হবে । কমপক্ষে ছ'মাসের পর গর্ভধারণ করতে পারেন ।
আট, যারা গর্ভধারণ নিবারণের ওষুধ খান তাদেরকে কমপক্ষে ওষুধ খাওয়া ৬ মাস বন্ধ রাখার পর গর্ভধারণ করতে পারেন আর যারা দীর্ঘকাল ধরে কোনো এক ধরনের ওষুধ খান তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভধারণের সময় নির্ধারণ করতে হবে ।
নয় ,মন খারাপের সময় গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
দশ,আমবাতের টিকা নেয়ার পর গর্ভধারণ এড়াতে হবে । আমবাতের টিকা নেয়ার কমপক্ষে তিন মাস পর গভর্ধারণ করতে পারেন ।
সাধারণত ভ্রুণ মায়ের পেটে ৪০ সপ্তাহ থাকে । প্রথম ১২ সপ্তাহ হল গর্ভধারণের প্রথম পযায়,১৩-২৭ সপ্তাহ পযন্ত গর্ভধারণের দ্বিতীয় পযায় আর ২৮তম সপ্তহ থেকে প্রসব পযন্ত গর্ভধারণের তৃতীয় পযায়। প্রথম তিন মাসে ভ্রুণের প্রতিটি পযায় প্রাথমিক লালনপালন প্রক্রিয়ায় থাকে বলে সহজে নানা ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে,তাই বিশেষভাবে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে । এসময় সহজে গর্ভপাত হতে পারে বলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে । এ সময়পবে গর্ভবতীর কিছু প্রতিক্রিয়া হতে পারে ,যদি গুরুতর এসিডে বিষক্রিয়া বা ওয়াটার ব্যাগ ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা দেখা দেয়, তাহলে হাসপাতালে যেতে হবে ।
গর্ভধারণের শেষ সময়পবে শরিরচর্চা কমাতে হবে।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ে হাসপাতালে পরীক্ষা করার সময়ে সাধারণত ডাক্তার গর্ভবতীকে নিজের দ্বারা পরীক্ষার পদ্ধতি শেখাতে পারেন । তিন বেলা এই পরীক্ষা করা হয়। সকাল,দুপুর আর সন্ধ্যায় গড়ে একবার করা হয় । যদি এক ঘন্টার মধ্যে ভ্রূণ মায়ের পেটে তিনবার বেশি নড়াচড়া করে অথবা দিনে তিনবারের পরীক্ষার ফলাফল দশবার ছাড়িয়ে যায় তাহলে ভ্রূণের নড়াচড়া স্বাভাবিক। আর যদি দীর্ঘসময়ে ভ্রূণের কোনো নড়াচড়া নেই তাহলে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় ।গর্ভধারণের শেষ পযায়ে ভ্রূণের স্পন্দন মিনিটে ১২০-১৬০বার স্বাভাবিক ।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ের খাবার চবি কম,টাটকা ও পুষ্টি বেশি প্রধানত এমনভাবে তৈরী হতে হবে । সামুদ্রিক খাবারে যাদের এলার্জী তাদেরকে এ ধরণের খাবার খাওয়া এড়াতে হবে । যারা সিগারেট ও মদ খান গর্ভধারণকালে তাদেরকে একেবারে সিগারেট ও মদ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে । গর্ভধারণের শেষপযায়ে গর্ভবতীর ওজন ৯-১২কেজি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক । প্রত্যেক সপ্তাহে ওজন -বৃদ্ধি ০.৫ কেজির মধ্যে হওয়া উচিত ।
যদি ওজন দ্রুতভাবে বেড়ে যায় তাহলে অন্য অস্বাভাবিক কারণের কথা বিবেচনা করা উচিত । হাসপাতালে রক্তদুষ্ট, মুত্রগ্রন্থির প্রদাহ বা শোথ হয়েছে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে । তাছাড়া গভর্ভধারণকালে নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত , নইলে ভ্রূণ অতি বড় হওয়ায় স্বাভাবিক প্রসব করতে না পারলে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা বের করাতে হবে । যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে চান তাহলে ভ্রূণের ওজনকে ৩-৩.২৫কেজির মধ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভাল ।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ে কি কি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে? সর্বপ্রথমে যদি ওয়াটার ব্যাগ ভেঙ্গে পানি বের হয় তাহলে যততাড়াতাড়ি সম্ভব এবং চিত্হয়ে শুয়ে থাকার অবস্থায় হাসপাতালে যেতে হবে । যাতে নাড়ি পড়ে যাওয়ার বিপদ এড়ানো যায় । যদি গর্ভকোষের নিয়মিত ৪-৫ মিনিট করে একবার ৪০-৫০ সেকেন্ডস্থায়ী যন্ত্রণা হয় অর্থাত নিয়মিত পেট ব্যাথা হয় তা মানে বাচ্চার শিগ্গিরই জন্ম হবে । যদি দীর্ঘসময়ে ভ্রূণের নড়াচড়া হয় না তাহলে শিগ্গিরই হাসপাতালে যেতে হবে ।
সাধারণত ৩৬-৩৭ সপ্তাহের সময়ে গর্ভবতীকে পরীক্ষা করার পর ডাক্তার পেটের বাচ্চার আকার , গর্ভবতীর পেলভিস এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী গর্ভবতীর সঙ্গে সঙ্গিতপূর্ণ প্রসবের পদ্ধতি স্থির করবেন । সম্ভব হলে অপারেশনের বদলে স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতি বেছে নিন । কারণ স্বাভাবিকভাবে প্রসূত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো সহজ হবে । ভাবী মায়েরা,মনে রাখুন,ভয় করবেন না, সহজে রাগ করবেন না , ক্লান্ত হবেন না , আলস্য করবেন না , চিন্তাশীল হবেন না , নিয়মিতভাবে খাবেন,বেশি দূরে যাবেন না , ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না । আপনাদের স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর সন্তানের কামনা করি ।
গভর্ধারণের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেয়া পারিবারিক জীবনের এক বড় ঘটনা । গর্ভধারণের আগে নারীদের শারিরীক অবস্থা ও জীবনযাপনের পরিবেশ সরাসরি গর্ভবতী ও পেটের বাচ্চার স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত । তাই গর্ভধারণের আগে নিম্নে যে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে তাহল
এক, রোগাক্রান্ত হওয়া বা আরোগ্য লাভ করার সময়ে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
দুই, বিয়ে করার প্রথম মাসে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
তিন, হানিমুন বা পযটনকালে গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
চার, স্বামী-স্ত্রী দুপক্ষের উচ্চবয়সে গর্ভধারণ এড়াতে হবে । নারিদের উত্তম প্রজননের বয়স হল ২৪ থেকে ৩০ বছর বয়স পযন্ত ।
পাঁচ,গর্ভধারণের আগে তেজষ্ক্রিয় রশ্মি বা অতিবিষাক্ত বস্ত্রের স্পর্শ এড়াতে হবে , সাধারণত এক্সরে চিকিত্সার কমপক্ষে চার সপ্তাহের পর গর্ভধারণ করতে পারেন ,আর যারা বারবার অতি বিষাক্ত কীটনাশক ওষুধ বা রাসাযনিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসেন তারা এক মাস পর গর্ভধারণ করতে পারেন.যাতে ভ্রুণটির বিকৃতি না ঘটে ।
ছয়,সিগারেট ও মদ খাওয়া ছেড়ে দেয়ার ২-৩ মাস পর গর্ভধারণ করতে পারেন আর স্বামীকে স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার এক মাস আগে সিগারেট ও মদ খাওয়া বন্ধ করতে হবে ।
সাত, প্রসব ও গর্ভপাতের কিছু দিন হতে না হতেই গর্ভধারণ এড়াতে হবে । কমপক্ষে ছ'মাসের পর গর্ভধারণ করতে পারেন ।
আট, যারা গর্ভধারণ নিবারণের ওষুধ খান তাদেরকে কমপক্ষে ওষুধ খাওয়া ৬ মাস বন্ধ রাখার পর গর্ভধারণ করতে পারেন আর যারা দীর্ঘকাল ধরে কোনো এক ধরনের ওষুধ খান তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভধারণের সময় নির্ধারণ করতে হবে ।
নয় ,মন খারাপের সময় গর্ভধারণ এড়াতে হবে ।
দশ,আমবাতের টিকা নেয়ার পর গর্ভধারণ এড়াতে হবে । আমবাতের টিকা নেয়ার কমপক্ষে তিন মাস পর গভর্ধারণ করতে পারেন ।
সাধারণত ভ্রুণ মায়ের পেটে ৪০ সপ্তাহ থাকে । প্রথম ১২ সপ্তাহ হল গর্ভধারণের প্রথম পযায়,১৩-২৭ সপ্তাহ পযন্ত গর্ভধারণের দ্বিতীয় পযায় আর ২৮তম সপ্তহ থেকে প্রসব পযন্ত গর্ভধারণের তৃতীয় পযায়। প্রথম তিন মাসে ভ্রুণের প্রতিটি পযায় প্রাথমিক লালনপালন প্রক্রিয়ায় থাকে বলে সহজে নানা ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে,তাই বিশেষভাবে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে । এসময় সহজে গর্ভপাত হতে পারে বলে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে । এ সময়পবে গর্ভবতীর কিছু প্রতিক্রিয়া হতে পারে ,যদি গুরুতর এসিডে বিষক্রিয়া বা ওয়াটার ব্যাগ ভেঙ্গে যাওয়ার অবস্থা দেখা দেয়, তাহলে হাসপাতালে যেতে হবে ।
গর্ভধারণের শেষ সময়পবে শরিরচর্চা কমাতে হবে।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ে হাসপাতালে পরীক্ষা করার সময়ে সাধারণত ডাক্তার গর্ভবতীকে নিজের দ্বারা পরীক্ষার পদ্ধতি শেখাতে পারেন । তিন বেলা এই পরীক্ষা করা হয়। সকাল,দুপুর আর সন্ধ্যায় গড়ে একবার করা হয় । যদি এক ঘন্টার মধ্যে ভ্রূণ মায়ের পেটে তিনবার বেশি নড়াচড়া করে অথবা দিনে তিনবারের পরীক্ষার ফলাফল দশবার ছাড়িয়ে যায় তাহলে ভ্রূণের নড়াচড়া স্বাভাবিক। আর যদি দীর্ঘসময়ে ভ্রূণের কোনো নড়াচড়া নেই তাহলে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় ।গর্ভধারণের শেষ পযায়ে ভ্রূণের স্পন্দন মিনিটে ১২০-১৬০বার স্বাভাবিক ।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ের খাবার চবি কম,টাটকা ও পুষ্টি বেশি প্রধানত এমনভাবে তৈরী হতে হবে । সামুদ্রিক খাবারে যাদের এলার্জী তাদেরকে এ ধরণের খাবার খাওয়া এড়াতে হবে । যারা সিগারেট ও মদ খান গর্ভধারণকালে তাদেরকে একেবারে সিগারেট ও মদ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে । গর্ভধারণের শেষপযায়ে গর্ভবতীর ওজন ৯-১২কেজি বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক । প্রত্যেক সপ্তাহে ওজন -বৃদ্ধি ০.৫ কেজির মধ্যে হওয়া উচিত ।
যদি ওজন দ্রুতভাবে বেড়ে যায় তাহলে অন্য অস্বাভাবিক কারণের কথা বিবেচনা করা উচিত । হাসপাতালে রক্তদুষ্ট, মুত্রগ্রন্থির প্রদাহ বা শোথ হয়েছে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা নিতে হবে । তাছাড়া গভর্ভধারণকালে নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত , নইলে ভ্রূণ অতি বড় হওয়ায় স্বাভাবিক প্রসব করতে না পারলে অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা বের করাতে হবে । যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে চান তাহলে ভ্রূণের ওজনকে ৩-৩.২৫কেজির মধ্যে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভাল ।
গর্ভধারণের শেষ পযায়ে কি কি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে? সর্বপ্রথমে যদি ওয়াটার ব্যাগ ভেঙ্গে পানি বের হয় তাহলে যততাড়াতাড়ি সম্ভব এবং চিত্হয়ে শুয়ে থাকার অবস্থায় হাসপাতালে যেতে হবে । যাতে নাড়ি পড়ে যাওয়ার বিপদ এড়ানো যায় । যদি গর্ভকোষের নিয়মিত ৪-৫ মিনিট করে একবার ৪০-৫০ সেকেন্ডস্থায়ী যন্ত্রণা হয় অর্থাত নিয়মিত পেট ব্যাথা হয় তা মানে বাচ্চার শিগ্গিরই জন্ম হবে । যদি দীর্ঘসময়ে ভ্রূণের নড়াচড়া হয় না তাহলে শিগ্গিরই হাসপাতালে যেতে হবে ।
সাধারণত ৩৬-৩৭ সপ্তাহের সময়ে গর্ভবতীকে পরীক্ষা করার পর ডাক্তার পেটের বাচ্চার আকার , গর্ভবতীর পেলভিস এবং পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী গর্ভবতীর সঙ্গে সঙ্গিতপূর্ণ প্রসবের পদ্ধতি স্থির করবেন । সম্ভব হলে অপারেশনের বদলে স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতি বেছে নিন । কারণ স্বাভাবিকভাবে প্রসূত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো সহজ হবে । ভাবী মায়েরা,মনে রাখুন,ভয় করবেন না, সহজে রাগ করবেন না , ক্লান্ত হবেন না , আলস্য করবেন না , চিন্তাশীল হবেন না , নিয়মিতভাবে খাবেন,বেশি দূরে যাবেন না , ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না । আপনাদের স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর সন্তানের কামনা করি ।
No comments:
Post a Comment